আজ(২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭) সন্ধ্যা ৭টায় লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভিআইপি মিলনাতায়নে প্রফেসর ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী এমপি’র সাথে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গা নাগরিকদের উপর সাম্প্রতিক সময়ে অমানুষিক ও বর্বরোচিত রাষ্ট্রীয় গণহত্যার প্রেক্ষিতে লোহাগাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজাহান পিপিএম(বার) এর উদ্যোগে স্থানীয় সাংসদের সাথে লোহাগাড়ার ২২টি বৌদ্ধ বিহার ও ২২টি শ্মশান কুটিরের ভিক্ষু এবং লোহাগাড়া উপজেলার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দের এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রীমৎ ধর্মদর্শী মহাথের এর সভাপতিত্বে এবং মাষ্টার প্রিয়দর্শী বড়ুয়ার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা ও কলাউজান ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন সিকদার, চরম্বা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসহাব উদ্দিন,বড়হাতিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক বাবু রিটন বড়ুয়া রোনা, তাপস জ্যোতি ভিক্ষু ছাড়াও লোহাগাড়ার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন ভিক্ষু ও নেতৃবৃন্দ।
মতবিনিময় সভাদ্বয়ে সাংসদ প্রফেসর ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে বাস্তবায়িত হয়েছে। ধর্ম যার যার উৎসব সবার-বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বরাবরই এই নীতিতেই বিশ্বাসী। তিনি বলেন, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদ, মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীদের কাউকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবেনা। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্যন্যা নজির। স্বাধীনতা যুদ্ধে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান ধর্মের লোকদের সম্মিলিত অংশগ্রহণ ছিল। কারও অবদানকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। তিনি আসন্ন দূর্গোৎসব সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য সাতকানিয়া লোহাগাড়ার বিভিন্ন এলাকার পূজা মন্ডপগুলোতে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন এবং আরকানে সংঘটিত রোহিঙ্গা গণহত্যাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরণের সমস্যা কিংবা অস্বাভাবিক কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হলে তা কঠোর হস্তে দমন করার জন্য প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার ব্যাপারে বর্তমান সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে দৃঢ় বিশ্বাসী।
সভায় বৌদ্ধ ভিক্ষুরা তাদের বক্তব্যে বলেন, মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের রোহিঙ্গা নাগরিকদের উপর সাম্প্রতিক সময়ে রাষ্ট্রীয় গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানান এবং মিয়ানমারের রাখাইন বৌদ্ধদের আচরণের প্রতি ঘৃণা ও ধিক্কার জ্ঞাপন করে বাংলাদেশে বসবাসরত সকল বৌদ্ধ শ্রেণীর নিরাপত্তার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ আন্তরিকতার প্রশংসা করেন।