সাথী বড়ুয়া
ক্যালিফোর্নিয়া, আমেরিকা থেকে
বাংলাদেশে ‘সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজ ‘ নামে কতিপয় ব্যক্তি সংবাদ সম্মেলন করে ফানুস উত্তোলন না করার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা সম্পূর্ণ ভুল এবং অন্যায় বলে মনে করি। আপনারা কতিপয় ব্যক্তি নিজেদের মনগড়া সিদ্ধান্ত সমগ্র বৌদ্ধ সমাজের ব্যানারে ঘোষনা করতে পারেন না।
আপনাদের ভাষায়, রোহিংগাদের প্রতি সংহতি জানানোর জন্যে আপনারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু আমি বুঝতে পারছিনা রোহিংগাদের প্রতি সংহতি জানানোর জন্য নিজেদের হাজার বছরের ঐতিহ্য, ধমীয় সংস্কৃতি বিসর্জন দিতে হবে কেন?
হ্যাঁ মিয়ানমারে আজ মানবতা বিপন্ন। শরণার্থী হয়ে আসা রোহিংগাদের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা। আমার জানা মতে বিভিন্ন বৌদ্ধ সংগঠন ইতোমধ্যে রোহিংগাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে এবং করছে। রোহিংগাদের প্রতি মিয়ানমার সরকারের এই অমানবিক অত্যাচারের বিরূদ্ধে সমগ্র বৌদ্ধ সমাজ প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে।
এতকিছুর পরেও কেন আপনারা এই ধরনের আত্নঘাতী সিধান্ত নিলেন তা আমার বোধগম্য নয়। হয়তো বলতে পারেন ধমীয় রোষানলের ভয়ে।কিন্তু আপনারা কি নিশ্চিত করে বলতে পারবেন প্রবারণায় ফানুস উত্তোলন না করলে বাংলাদেশে বৌদ্ধরা আর অত্যাচারিত হবে না? ২০১২ সালের রামু ট্রাজেডির মতো আর কোন ঘটনা ঘটবেনা?
প্রবারণা পূর্ণিমায় ফানুস উত্তোলন অনুষ্টান বজায় রেখেও কি আমরা রোহিংগাদের সহায়তা করতে পারি না?