বিবর্তন ডেস্ক: মিয়ানমারে সেনা ও যুবকদের হাতেই রোহিঙ্গারা নির্বিচারে হত্যার শিকার হচ্ছেন বলে প্রচার পাওয়ার পর বাংলাদেশে বসবাসকারী বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের মিয়ানমারে পাঠিয়ে দেয়ার কথা বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ছে।
কিন্তু একটা দেশে নানা ধর্মালম্বীর অবস্থান থাকে এবং একই ধর্মের অনুসারী হলেও একজনের অপরাধে অপরজনকে দোষারোপ করা মোটেও সমীচিন নয়। এসব কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশের নাগরিক বৌদ্ধধর্মালম্বীদের উপসনালয়সহ পাড়ার নিরাপত্তা জোরদার করেছে প্রশাসন। বিশেষ করে কক্সবাজার জেলার ৭ উপজেলার প্রায় ১৩৩টি বৌদ্ধমন্দিরের নিরাপত্তায় বিহার সুরক্ষা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরমাঝে গুরুত্ব বিবেচনায় কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৫৩টি বৌদ্ধ বিহারে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ।
রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে কেউ যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে না পারে সেজন্য উখিয়ার প্রতিটি বিহারে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান উখিয়া উপজেলা বৌদ্ধ সুরক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক প্লাবন বড়ুয়া।
পুলিশ প্রশাসন সূত্র জানায়, সারাদেশের ন্যায় উখিয়াতেও প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারে নিরাপত্তা জোরদার ও বিহার সুরক্ষা কমিটি গঠন করার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ দফতর থেকে পত্র পাঠানো হয়। এর আলোকে উখিয়ার ৩৮ ও টেকনাফের ১৫টিসহ পুরো জেলার ১৩৩টি বৌদ্ধ বিহারের অধিকাংশ বিহারের সুরক্ষা কমিটিও গঠন করা হয়েছে।