চারু ঊত্তম বড়ুয়া
সম্পাদক, চারুলতা
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিয়ে দেশের চলমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে সংকট ও সমূহ ভীতি বৌদ্ধ জনমানসে চেপে বসেছে তার মূল্যায়ন এবং বৌদ্ধজননিরাত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজ এর ব্যানারে ঢাকার কিছু চেনাজানা বিহারকেন্দ্রিক নেতৃত্ব সম্প্রতি রিপোটার্স ইউনিটি হলে এবছর প্রবারণায় ফানুস উত্তোলন না করার সিদ্ধান্তটি আমার কাছে অভিজ্ঞতা সঞ্জাত এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত হিসেবে মনে হয়েছে। এতে আমি সুখবোধ করেছি।
পরক্ষণে ফানুস উত্তোলনের সমুদয় অর্থ বিপন্ন রোহিঙ্গাদের কাছে ত্রাণ হিসেবে প্রদানে সিদ্ধান্তে বিস্মিত হয়েছি এই ভেবে যে, ফানুস বানানোর খরচ কতইবা! সারাদেশে যত ফানুস উড়বে তা থেকে সংগ্রহযোগ্য টাকার পরিমান কতইবা হবে! তিন লক্ষ, পাঁচ লক্ষ!!! অতচ, একটি মধ্যম আয়োজনের কঠিন চীবর দানে আমরা সেই পরিমান টাকা খরচ করবো কিছু অহেতুক আড়ম্বরে। যদি বলা হতো এবছর আমরা কঠিন চীবর দানের আড়ম্বরতা কমিয়ে তা থেকে একটি বড় অংশ রোহিঙ্গাদের জন্য দান করব কিংবা আমরা আমাদের মাসিক খরচ থেকে একদিনের খরচ রোহিঙ্গাদের জন্য দান করব তাতে সেই টাকার পরিমানটা কত হতো!!!!
মহোদয়গণের দ্বিতীয় সিদ্ধান্তটি আমার কাছে হাস্যকর মনে হয়েছে। অতএব দুঃখ পেলাম।