প্রসঙ্গঃ ফাঁনুস
এস, লোকজিত থের
মহাসচিব, সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা।
প্রবারণা পূর্ণিমায় ফানুসবাতি উড়াবেনা সে অর্থ মানবতা বিপন্ন অসহায় রোহিন্গাদের দান করবে।
ইতিমধ্যে পক্ষে বিপক্ষে মত এসেছে। প্রবারণা বিনয়ের সাথে সম্পৃক্ত আর ফানুস বাতি প্রবারণার একটি উৎসব। উৎসব না করলে ধর্ম শেষ হয়ে য়ায় না, বিনয় হচ্ছে প্রধান । বাংলাদেশের সকল জনগণ রোহিন্গা নির্যাতন সমর্থন করেনা, বিপন্ন মানবতার পাশে বাংলাদেশ সরকার জনগন দাঁড়িয়েছে যা বিশ্ববাসী প্রসংশা করেছে। বার্মায় জাতিগত সমস্যায় রোহিন্গরা নির্যাতিত হলে ও যেহেতু বার্মা বৌদ্ধ প্রধান দেশ সে কারনে রোহিন্গা নির্যাতনকে বিশ্বরাজনীতি নাম দিল মুসলিম রোহিন্গা নির্যাতন হত্যা। যা সমগ্র বৌদ্ধদের জীবপ্রেম মহান আদর্শ কে আজ প্রশ্নেবিদ্ধ করার পায়তারা করছে একটি বিশ্বচক্র, কারণ তাদের সেই দেশে এখন বৌদ্ধ ধর্মের জয়গান চলছে। ওসামাবিন লাদেনকে তারা সৃষ্টি করল তারা জন্গী বলে হত্যা করলো, অনুরূপ বৌদ্ধদের বেলায় তা করার চেষ্টা করছে অনেকটা সফলতার পথে।থাইল্যান্ডের দক্ষিণে কিছুদিন আগে ৫/৬ সেনা কে হত্যা করছে ইসলামী জন্গী, সেখানে মসলিম বৌদ্ধ সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করছে। দীর্ঘদিনের মসলিম বৌদ্ধ রাষ্টগুলোর সুসম্পর্ক নষ্ট করার একটি বিশ্বমোড়ার দের চক্র চলছে তা আমাদের উপলব্দি করতে হবে। তাই বলছি শুধু ধর্মজ্ঞান নয় কান্ডজ্ঞান ও প্রয়োজন।
ফানুস উৎসব চেয়ে অনেক বড় আমাদের জীবপ্রেম আদর্শ রক্ষা করা। আমরা ফানুসবাতি পরিবর্তে সে অর্থ দিয়ে রোহিন্গাদের যদি একমুটো অন্নদিতে পারি তাতে মন্ধ কোথায়। মহান বুদ্ধ আমাদের কে তো সেই শিক্ষায়ই দিয়েছেন। তিনি ধর্মদেশনা বন্ধ করে ক্ষুধ্ত কে অন্ন দিতে নির্দেশ করেছেন । আমরা যদি সেই আদর্শের অনুসারী হই তাহলে কেন পারবনা উৎস বন্ধ করে নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে।
বুদ্ধ জীবপ্রেমেই তার ধর্মকে প্রচার করেছেন।