কে. শ্রী জ্যোতিসেন থের
পরিচালক, রামকোট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার
বাংলাদেশে অামরা বৌদ্ধ সম্প্রদায় অাজন্ম অভিশপ্ত। যার কারনে প্রায়শ নির্যাতিত হতে হয়। দেশের চলমান পরিস্থিত দেখে রাজধানী ঢাকাস্থ উভয় নিকায়ের বৌদ্ধ ভিক্ষু-দায়কেরা যখন বাস্তুহারা ক্রন্দনরত রোহিঙ্গাদের প্রতি সমবেদনা জানানোর প্রত্যাশায় সংবাদ সম্মেলন করে অাসন্ন বৌদ্ধ ধর্মীয় অনুষ্ঠান “ফানুস উৎসব” বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ঠিক তখনই অামরা বৌদ্ধরা পক্ষে বিপক্ষে অনেকে বিভ্রান্ত হচ্ছি। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তকে সমগ্র বাংলার বৌদ্ধ জনগনের শ্রদ্ধা করা উচিত। হোক তারা ৮ জন বা ৮০০ জন, যেহেতু সে সিদ্ধান্তটি মিডিয়ায় চলে এসেছে সেহেতু তা বাস্তবায়ন করা অামরা সকলে কতর্ব্য বলে অামি মনে করি। হ্যা, অাপনি বলতে পারেন তারা ৮ জনের কথায় কেন অামরা ফানুস উড়াব না? অথবা অামি বা অামার নেতাকে কেন সেই সংবাদ সম্মেলেনে তালাস করা হয়নি? অামি সেই সিদ্ধান্ত মানি না, মানব না। অামরা ফানুস উড়াবই উড়াব। যদি তাই মনে করেন তাহলে এটা একান্তই অাপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। অাপনার এই সিদ্ধান্তে কারো হস্তক্ষেপ করার সেই ক্ষমতা নেই। কারণ অামরা অসহায় হিংসুটে বৌদ্ধরা এখনো একজন সর্বজনীন নেতা তৈরী করতে পারি নি, হয়তো পারবও না যার সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তবে হ্যা, এটাও মনে রাখবেন অাজকে অাপনি তাদের কথাকে তোয়াক্ষা করলেন না, কালকে অাপনার কথাকেও অারেক জন তোয়াক্ষা করবে না। এভাবে দিন দিন তলিয়ে যেতে হবে অামাদেরকে। তদুপরি যে সিদ্ধান্তটি মিডিয়ায় চলে অাসার পরও যখন দেখবে ৫ অক্টোবর কতিপয় বৌদ্ধরা সম্মিলিত বৌদ্ধদের সিদ্ধান্তকে তোয়াক্ষা না করে ফানুস উড়িয়েছে। মনে করবেন না এতে শুধু ঢাকায় বসে থাকা বৌদ্ধদের ইজ্জত গেছে বাঃ কি মজাঃ কি মজাঃ। দেখবেন তার সাথে অাপনার পায়ের নিচের মাটিও সরে গেছে, তখন অাপনার অতীব বিশ্বস্থ হাটু দুটিও অার অাপনাকে রক্ষা করতে পারবে না। ভিন্ন সম্প্রদায়ের বলতে সুবিধা হবে- অারে বেটা, বাংলাদেশে সাড়ে তিন জন বৌদ্ধ, তার মধ্য অাবার চৌদ্ধ ভাগ, কেউ ফানুস উড়াইছে, কেউ ফানুস উড়াইনি। তাই সময় থাকতে সাধু সাবধান। অাবেগ ও হুজুগির বশবর্তি হয়ে নয় বরং বিবেগ ও অপ্রমত্ততা দিয়ে কাজ করলে সর্বময় মঙ্গল হবে।