কুমিল্লার চান্দিনা ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সম্প্রতি পুলিশের অভিযানে আটক জঙ্গিরা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়নে বৌদ্ধ ভিক্ষু হত্যাসহ তিনটি ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। স্থানীয় লোকজন জানায়, গত বছর বাইশারীতে পুলিশের উপর হামলা ও দুটি হত্যাকাণ্ডের পরপরই এলাকা ছেড়েছিলেন তিন তরুণসহ পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে সম্প্রতি তিনজন পুলিশের হাতে ধরা পড়ে আর আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হয় দুই জঙ্গী। আটক জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেই অনেক তথ্য বের হয়ে আসবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত বছর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে বৌদ্ধ ভিক্ষু হত্যাসহ দুটি হত্যাকাণ্ড ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় জঙ্গিরা জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করছিলো পুলিশ। তবে, কোন জঙ্গি সংগঠন বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোন তথ্য ছিলোনা তাদের কাছে। কিন্তু, কুমিল্লার চান্দিনা ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ঘটনার পর খুলতে শুরু করে রহস্যের জট। স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধি বলছেন, এলাকায় পরপর বড় তিনটি ঘটনার পরপরই গা ঢাকা দেয় তারা।
স্থানীয়রা বলেন, প্রত্যেকে আমরা পত্রিকায় দেখছি।আমাদের বিশ্বাস তারাও এই কাজ করতে পারে। আগে আমরা এখানকার মানুষদের সন্দেহ করতাম। কিন্তু বাইরে থেকে এখানে লোক আসছে। এক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যরা জানায়, প্রায় এক বছর ধরে পরিবার বিচ্ছিন্ন তারা। তবে কোথায় ছিলো বা কোন জঙ্গি সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলো কিনা সে বিষয়ে কিছুই জানতোনা তারা।
তারা বলেন, শশুড়বাড়ীতে বেড়াতে যাওয়ার পর আর আসেনি। আর কোন খবর রাখেনি। এর আগে সাত মাস পরে একবার কল দিয়েছে শুধু। চট্টগ্রাম রেঞ্জের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বৌদ্ধ ভিক্ষু হত্যা রহস্য উন্মোচনের জন্য জহিরুল এবং আরজিনাকে এই হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি বলেন, ‘জঙ্গিরা ওই এলাকায় কিছুদিন ছিলো। ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওরা জড়িত কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বাইশারী বাজারে পুলিশ সদস্যকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ, ১৩ মে রাতে বাইশারির দুর্গম এলাকায় বৌদ্ধভিক্ষু ধাম্মা ওয়াসাকে কুপিয়ে হত্যা ও ২৯ জুন রাতে বাইশারী বাজারের পাশে ধাবনখালি মারমা পাড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা মংশৈলু মারমাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
https://youtu.be/FNzFsy75Wis