পূণ্যের কাজে বেশি বেশি করে দানোৎসর্গের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে মনে আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়। হিংসা বিদ্ধেষ লোভ-লালসা পরিহার করে বৌদ্ধ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে পারলে ইহজন্মে ও পরজন্মে পরিত্রাণ লাভ করা সম্ভব। তার জন্য বনভান্তের আদেশ উপদেশ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের বনভান্তের শীর্ষ শ্রীমৎ সুধর্মনন্দ ভান্তে ও শ্রীমৎ সুমন ভান্তে।

ধর্মীয় দেশনা শুনতে গোটা বিহার প্রাঙ্গনে কয়েক হাজার পূর্ণার্থীর ঢল নামে।
সকাল নয়টায় বুদ্ধ সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। মনিশংকর চাকমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক চন্দ্র সুরথ চাকমা।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য জানে আলম, লংগদু উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা রকি চাকমা, জেলা যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম খোকন, ১নং আটারকছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মঙ্গল কান্তি চাকমা।
অতিথির বক্তব্যে জানে আলম বলেন, পাহাড়ে আমরা বিভিন্ন বর্ণের ও বিভিন্ন ধর্মের মানুষ পাশাপাশি বসবাস করছি। আমাদের মধ্যে সম্প্রতির যে অটুট বন্ধন তা আরো সূদৃঢ় করতে ধর্মের অহিংস বাণীর চর্চা করতে হবে। প্রতিটি ধর্মে মানুষের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। মানুষে মানুষে যেন ভেদাভেদ না থাকে মানুষ সবাই সমান এটাই ধর্মের শিক্ষা ।
অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিলো অষ্টবিংশ পূজা, পঞ্চশীল গ্রহন, বুদ্ধমুর্তি দান, মহাসংঘ দান, অষ্ট পরিস্কার দান, অষ্টবিংশতি বুদ্ধ পূজা, ধর্মস্কন্ধ পূজা ইত্যাদি। সব শেষে সন্ধ্যায় চুরাশি হাজার প্রদীপ প্রজ্জলনের মধ্য দিয়ে শুভ ফালগুনী পূর্ণিমার সমাপ্তি ঘটে।