সবাইকে পূর্ণিমার মৈত্রীময় শুভেচ্ছা। আমাদের জন্য এই দিনের বিশেষত্ব হচ্ছে বুদ্ধ ফাল্গুনি পূর্ণিমা দিনে কপিলাবস্তুতে তার জ্ঞাতীগণের সাথে মিলিত হয়েছিলেন। তাই বৌদ্ধরা এই পূর্ণিমাকে জ্ঞাতি মিলন দিবসও বলে।
ঠিক এধরণের এক পূর্ণিমার রাতে এক দেবপুত্রের আহ্বানে বুদ্ধ ৩৮ প্রকার মঙ্গলের কথা ব্যাখ্যা করেছিলেন।
সেগুলো নিম্মরুপ :
১। অজ্ঞানীর সেবা না করা
২।জ্ঞানী বা সত্ ব্যক্তির সেবা করা
৩। পূজনীয় ব্যক্তির
পূজা করা
৪। প্রতিরুপ দেশে বাস করা
৫। পূর্বকূত পূণ্য স্বরণ
করা
৬। নিজেকে সঠিক পথে পরাচালিত করা
৭। বহু বিষয়ে জ্ঞান
লাভ করা
৮। বিবিধ শিল্পে শিক্ষার জ্ঞান লাভ করা
৯।বিনয়ী হওয়া
১০। সুভাষিত (সুন্দর) বাক্য বলা
১১। মাতা পিতার
সেবা করা
১২। স্ত্রীর পূত্রের ভরণ পোষণ করা
১৩। সত্কর্মের দ্বারা জীবিকার্জন করা
১৪। দান দেওয়া
১৫। কায় বাক্য মনে ধর্ম চর্চা করা
১৬। জ্ঞাতি বর্গের উপকার
করা
১৭। পূণ্যকর্ম সম্পাদন করা
১৮। পাপকর্মে রত না হওয়া
১৯। পাপকার্য হতে দূরে থাকা
২০। মদ বা মাদকাসক্তি থেকে দূরে থাকা
২১। অপ্রমত্তভাবে ধর্ম জীবন যাপন করা
২২। গুণী ব্যক্তিরগৌরব করা
২৩। তাদের নিকট নম্র থাকা
২৪। প্রাপ্ত বিষয়ে সন্তুষ্ট থাক
২৫। উপকারীর উপকার স্বীকার করা
২৬। যথাকালে ধর্মশ্রবণ করা
২৭।ক্ষমাশীল হওয়া
২৮। গুরুজনের আদেশ উপদেশ পালন করা
২৯।ধর্মগুরুর (ভিক্ষু-শ্রমন) দর্শন করা
৩০।যথাসময়ে ধর্মালোচনা করা
৩১। ধ্যান করা
৩২। ব্রম্ম চর্য পালন করা
৩৩। চার আর্যসত্য দর্শন করা
৩৪। নির্বাণ সাক্ষাত্ করা
৩৫। অষ্ট লোকধর্মে অবিচলিত না থাকা
৩৬।শোকহীন হওয়া
৩৭। লোভ দ্বেষ মোহরুপ কলুষহীন হওয়া
৩৮।ভয়হীন হওয়া।
পবিত্র এপূর্ণিমা উপলক্ষে দেশ বিদেশের বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে ধর্মীয় কর্মসূচীসহ নানান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।