অরুণ ব্যানার্জী
রাজা অশোকের আমলে ভারত থেকে বর্মার থাটনে বৌদ্ধ ধর্মের মহান শিক্ষা প্রচারের জন্য বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পাঠানো হয়। থাটন ছিল বর্মার একটি বাণিজ্য কেন্দ্র। এ সময় ভারত ও বর্মার মধ্যে ব্যবসা যেমন সম্প্রসারিত হয়; তেমনি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সাথে বেড়ে উঠতে থাকে যোগাযোগ ও ধর্মীয় বিশ্বাসের বন্ধন
বৌদ্ধ ধর্মের জন্ম হয়েছে ভারতে। কালক্রমে তা বিস্তৃত হয়েছে বিশ্বব্যাপী। তিনি ছিলেন জ্ঞানী ও কঠোর সংযমী। প্রাচীন ভারতে হিমালয়ের পাদদেশে ছিল কোশাল রাজ্য। এই রাজ্যের রাজধানী ছিল কপিলাবস্তু। এ রাজ্যের অধিপতি ছিলেন রাজা শুদ্ধোধন। তার ঔরসে ও রাণী মহাদেবীর গর্ভে খৃস্টপূর্ব ৪৮৩ অব্দে লুন্বিনী উদ্যানে জন্মগ্রহণ করেন বুদ্ধ। রাজার পুত্র হয়েও কোনো রাজপ্রসাদে জন্মগ্রহণ না করে তিনি চলে যান মুক্ত প্রকৃতির নীল আকাশের নিচে। রাজা শুদ্ধোধনের নির্দেশে জ্যোতিষীদের নির্দেশ দিলেন শিশুটির ভাগ্য গণনার করতে। এক জ্যোতিষী বললেন, এই শিশু একদিন পৃথিবীর রাজা হবে। যেদিন সে জরাজীর্ণ বৃদ্ধ মানুষ, রোগগ্রস্ত মানুষ, মৃতদেহ এবং সন্ন্যাসীর দর্শন পাবে সেই দিনই সংসাবের সকল মায়াত্যাগ করে গৃহত্যাগী হবে।
একথা শুনে চিন্তিত হয়ে পড়লেন রাজা শুদ্ধোধন। মন্ত্রীরা রাজাকে অভয় দিয়ে বললেন, রাজপুত্রকে আনন্দঘন বৈভব ও বিলাসিতার স্রোতে গা ভাসিয়ে চলতে দিন। তাহলে সে কোনোদিন গৃহত্যাগী যেমন হবে না, তেমনি গ্রহণ করবে না সন্ন্যাসব্রত। রাজপুত্র সিদ্ধার্থের স্থান হলো পৃথক একটি রাজপ্রসাদে। সেখানে কোনো জরা, রোগ, ব্যাধি, মৃত্যুর প্রবেশ করার আধিকার নেই। রাজপুত্র সিদ্ধার্থ রাজপ্রাসাদের পরিমণ্ডলে উঠল বড় হয়ে উঠতে শুরু করল। ধুমধামের সাথে যুবরাজের সম্ভ্রান্ত বংশীয় সুন্দরী কিশোরী যশোধরার সাথে বিয়ে দেয়া হলো। আনন্দঘন পরিবেশে মেতে উঠলো সিদ্ধার্থ। যথাসময়ে পুত্র রাহুলের জন্ম হলো। এরপর ধীর শান্ত শৈশরের সিদ্ধার্থ হয়ে উঠল সংসার বিরাগী এক অন্যমনের মানুষ। একদিন যুবরাজ সিদ্ধার্থ রথে চড়ে পথে বের হলেন। এ সময় তার চোখে পড়ল এক অস্থিচর্মসার এক বৃদ্ধের যার মাথার সব চুল পেকে সাদা হয়ে গিয়েছে। মুখে নেই একটিও দাঁত। গায়ের চামড়া ঝুলে পড়েছে। লাঠিতে ভর দিয়ে হাঁটছিল ধীরে ধীরে। বৃদ্ধটিকে দেখে রথ থামালেন সিদ্ধার্থ। তার সমস্ত মন বিচলিত হয়ে পড়ল। মানুষের একি ভয়ঙ্কর রূপ? সাথে সাথে সারথী চন্নকে জিজ্ঞাসা করলেন এ বৃদ্ধের এমন অবস্থা হলো কেমন করে?
সারথী চন্ন তখন বললো, সকল মানুষকেই একদিন বৃদ্ধ হতে হবে। তখন তার শরীর থেকে যৌবনের সব রূপ রস সৌন্দর্য অন্তর্হিত হবে। জরা ব্যাধি এসে তার শরীরকে গ্রাস করবে। এ হলো মানুষের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি।
ভারাক্রান্ত মনে রাজপ্রাসাদে ফিরে এলেন যুবরাজ সিদ্ধার্থ। এ নিয়ে তাকে চিন্তাক্লিষ্ট মনে হলো। কয়েক দিন পর বাইরে বেরিয়ে তার চোখে পড়ল একটি গাছের নিচে শুয়ে আছে অসুস্থ, রোগগ্রস্ত একজন মানুষ। সে রোগ-যন্ত্রণায় কাতর হয়ে আর্তনাদ করছে। এই দৃশ্য দেখে সিদ্ধার্থের অন্তর ব্যথিত হয়ে উঠল। তিনি চন্নকে জিজ্ঞেস করলেন, ব্যাধির হাত থেকে মানুষের মুক্তি নেই?
সারথী চন্ন তদুত্তরে বললো, যুবরাজ রোগ ব্যাধি মানুষের জীবনের স্বাভাবিক ঘটনা। এর হাত থেকে কোনো মানুষের মুক্তি নেই। এ কথা শুনে সিদ্ধার্থ বিমর্ষ হয়ে পড়ল। তাহলে তো জীবন যৌবন অর্থহীন, যে কোনো মুহূর্তে ব্যাধি এসে গ্রাস করবে জীবনের সমস্ত প্রাণময়তাকে।
কিছুদিন পর সিদ্ধার্থের চোখে পড়ল এক শবযাত্রা। জীবনে এই প্রথম বারের মতো তিনি দেখলেন মৃতদেহ প্রিয়জনদের আহজারিতে ভরে উঠেছে আকাশ-বাতাস। বিস্ময় বিমৃঢ় হয়ে সিদ্ধার্থ বললেন, কিসের জন্য এই কান্না?
সারথী চন্ন বললো, প্রত্যেক মানুষের জীবনের শেষ পরিণতি হলো মৃত্যু। তাই প্রিয়জনকে চিরদিনের জন্য হারানোর বেদনায় মূহ্যমান হয়ে স্বজনরা কাঁদছে। ভাবান্তর দেখা দিল সিদ্ধার্থের মনে। তার মনে জেগে উঠল নতুন করে জীবন জিজ্ঞাসা। মৃত্যুই যদি জীবনের শেষ পরিণতি হয় তবে এই জীবনের সার্থকতা কোথায়? শুধু কি ব্যাধি-জরাকে ভোগ করার জন্যই এই জীবন? জীবনের এই অনিত্য যন্ত্রণাকে মানুষ কি জয় করতে অক্ষম? সিদ্ধার্থের কাছে তুচ্ছ হয়ে গেল রাজপ্রাসাদের বিলাস-বহুল জীবন। বাবা-মায়ের অপত্য স্নেহ। রাজপ্রাসাদের কর্মচারীদের সেবা। স্ত্রীর অপার ভালবাসা। পুত্র রাহুলের অনুপম সৌন্দর্য। সর্বোপরি তার পারিবারিক ও পারিপার্শ্বিক মোহময় জীবন। এভাবে জরা, মৃত্যু, ব্যাধির হাত থেকে মুক্তির জন্য একদিন গভীর রাতের আঁধারে সবার অগোচরে নিজের গৃহ ত্যাগ করে বেরিয়ে পড়লেন সিদ্ধার্থ। গ্রহণ করলেন সন্ন্যাসব্রত। দীর্ঘদিন বোধীবৃক্ষের নিচে বরলেন তপস া। অবশেসে লাভ করলেন জীবন জ্ঞান।
তিনি ফিরে এলন লোকালয়ে। জগতকে দিলেন নতুন পথের দিশা। তার প্রবর্তিত ধর্মের নাম হলো বৌদ্ধ ধর্ম। সৎ চিন্তা, সৎ কর্ম, অহিংসা, জ্ঞান চর্চা, সৎ সংকল্প, সৎ চেষ্টা, সৎ আচরণ, শান্তি, সত্য বাক্য, ইত্যাদি বৌদ্ধ ধর্মের মৌলিক নীতিমালা। বুদ্ধের জন্মস্থান কপিলাবস্ত বর্তমানে নেপালের অন্তর্ভুক্ত। গৌতম বুদ্ধের জীবদ্দশায় তাকে অনুসরণকারী শিষ্যরা আন্তরিকভাবে তার শিক্ষাকে ধরে রাখে। তাদের সক্রিয় বিশ্বস্ততায় বৌদ্ধধর্ম তদানীন্তন সমগ্র ভারতবর্ষে শুধু নয়; এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিস্তার লাভ করে। পরবর্তীতে সারা বিশ্বে বেড়ে যায় বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব। এ থেকে প্রমাণিত হয় বৌদ্ধ ধর্মের শিক্ষা কত নিখাঁদ ও মজবুত। বৌদ্ধ ধর্মের প্রাথমিক যুগের দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে লোকজন ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ শুরু করে। এসব ব্যবসায়ী দক্ষিণ এশিয়াকে শুধুমাত্র তাদের বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনায় আনেনি, তারা বৌদ্ধ ধর্ম ও এ দেশীয় সংস্কৃতি তাদের সাথে বহন করে নিয়ে যায় তাদের দেশে। তাদের প্রভাবে প্রভাবান্বিত হয়ে এসব অঞ্চলের জনসাধারণ বৌদ্ধ ধর্ম চর্চা করতে থাকে। পাশাপাশি তাদের প্রাচীন বিশ্বাস ও প্রথাকে আঁকড়ে রাখে।
রাজা অশোকের আমলে ভারত থেকে বর্মার থাটনে বৌদ্ধ ধর্মের মহান শিক্ষা প্রচারের জন্য বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পাঠানো হয়। থাটন ছিল বর্মার একটি বাণিজ্য কেন্দ্র। এ সময় ভারত ও বর্মার মধ্যে ব্যবসা যেমন সম্প্রসারিত হয়; তেমনি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সাথে বেড়ে উঠতে থাকে যোগাযোগ ও ধর্মীয় বিশ্বাসের বন্ধন। থাটনের জনগণ বৌদ্ধধর্মকে তাদের বিশ্বাসের অঙ্গ হিসেবে গ্রহণ করে। ভারত থেকে প্রচুর বৌদ্ধ মিশনারিকে থাটন বৌদ্ধ কেন্দ্রে পাঠানো হয়। অল্পদিনে থাটন হয়ে ওঠে বর্মার Theravada Buddhism-এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। পরবর্তী শতাব্দীতে Vagrayana Buddhism দক্ষিণ বর্মায় জনগণ অনুসরণ করতে থাকে। একই সাথে তারা হিন্দু ধর্ম ও স্থানীয় লোকায়ত বিশ্বাস সম্পর্কে পরিচিত হয়ে উঠতে থাকে। একাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে শক্তিমান রাজা Anowratha বর্মার উত্তরাংশ ও দক্ষিণাংশ তার দখলে নিয়ে নেন। তিনি ছিলেন থেরাভাদা বৌদ্ধবাদের শক্তিশালী সমর্থক। তিনি এটাকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে ঘোষণা দেন। তিনি শ্রীলংকা থেকে বৌদ্ধ ধর্মের মূল পাঠ্য ও ধ্বংসাবশেষ আনায়ন করেন। রাজধানী পাগলে তিনি সন্ন্যাসীদের মঠ নির্মাণ করেন। এটা তার উত্তরসূরিরা বহাল রাখে। পাগল কালক্রমে বৌদ্ধ সংস্কৃতির কেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায়। পরবর্তী শতাব্দীগুলোতে বর্মা যুদ্ধ ও রাজনীতির কারণে অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। কিন্তু বর্মার রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় বৌদ্ধ ধর্ম সাধারণ জনগণের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়ায়। প্রত্যেক গ্রামের স্কুলে সন্ন্যাসীর মঠ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এখানে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা শিশুদের বৌদ্ধ ধর্মের মৌলিক বিষয় শিক্ষা দিতেন। সাথে সাথে অক্ষরজ্ঞান ও সাক্ষরতা সম্পর্কে দিতেন প্রাথমিক ধারণা। ব্রিটিশরা দেশটিকে উনবিংশ শতাব্দীতে তাদের উপনিবেশের অন্তর্ভুক্ত করলে বর্মার বৌদ্ধদের জীবনে শুরু হয় নানা রকম দুঃখ-যন্ত্রণা। তবু বর্মার বৌদ্ধরা সমস্ত প্রতিকুলতা অতিক্রম করে অব্যাহত রাখে তাদের ধর্ম বিশ্বাস।
ভারতীয় সংস্কৃতির সাথে বৌদ্ধ ধর্মের বেশ মিল রয়েছে। নালন্দায় বৌদ্ধ ভিক্ষুদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ নির্মাণ করা হয়েছে। ভারতীয় পণ্ডিতরা এখানেও অবশিষ্ট এশিয়ার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিয়ে থাকেন। গৌতম বুদ্ধের ছবি, ভাস্কর্য এবং পরিচ্ছন্ন মূর্তি এখানে তৈরি করা হয়েছে। বৌদ্ধ পণ্ডিতরা নীতিশাস্ত্র, দর্শন ও যুক্তিবিদ্যার ওপর পুস্তক রচনা, করেন। ভারতের বিখ্যাত পণ্ডিতরা বিশেষ করে Nagarjuna, Asanja and Vasubhandu- এই তিন ভাই Philosophy of Mahayana Buddhism-এর রাখেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তাদের কর্মততপরতার দরুন মহাইয়া বুদ্ধবাদ সমগ্র ভারতবর্ষে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারণা বেশ প্রাচীন। খৃস্টপূর্ব ২৪৬ অব্দে রাজা অশোক তার পুত্র মহিন্দ্রকে মিশনের প্রধান করে শ্রীলঙ্কায় পাঠান। সেখানে তিনি শ্রীলঙ্কার রাজাকে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত করেন। এই রাজা বৌদ্ধ মিশনারিদের সহযোগিতা করেন। তিনি তাদের জন্য রাজধানীতে দেন নানারকম সহায়তা। সেখান থেকে তিনি বৌদ্ধধর্মের নানারকম শিক্ষা প্রচারে ও প্রসারে গ্রহণ করেন বহুমুখী তৎ। রাজা অশোকের কন্যা সংঘমিত্র বুদ্ধগয়া থেকে একটি বোধিবৃক্ষ শ্রীলঙ্কায় নিয়ে আসেন। এখানে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মাণ করেন সন্ন্যাসিণীদের জন্য একটি মঠ। যীশুখৃস্টের জন্মের দ্বিতীয় শতকে বৌদ্ধ ধর্ম শ্রীলঙ্কায় কর্তৃত্বপরায়ণ ধর্ম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এক শতাব্দী পরে শ্রীলঙ্কার রাজা বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ লিখিত আকারে সঙ্কলনের ব্যবস্থা করেন। শ্রীলঙ্কার ইতিহাসের প্রথম থেকেই হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে ভারত থেকে আক্রমণ এবং বিতাড়ন লেগেই ছিল। পর্তুগীজ, জার্মান ও বিলেতি উপনিবেশিক শাসনামলে শ্রীলঙ্কার বৌদ্ধদের ওপর নেমে আসে নানারকম বিপর্যয়। উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বৌদ্ধ ধর্মের পুনর্জাগরণের আন্দোলন শুরু হয়। এতে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা গ্রহণ করে আন্দোলনমুখী ভূমিকা। গুনান্ধা নামে একজন বৌদ্ধ ভিক্ষুর বাগ্মীতা জনসম্মক্ষে প্রচুর আশাবাদ সৃষ্টি করে। এসব বক্তৃতা H S Oicott নামক আমেরিকা থেকে শ্রীলঙ্কায় ভ্রমণকারী পর্যটকের মনে বৌদ্ধ ধর্মের পুনর্জাগরণ সম্পর্কে ব্যাপক উত্সাহ জাগায়। ধর্মপালা নামে একজন শ্রীলঙ্কার তরুণ মার্কিন পর্যটক এইচ এস ঔকটকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করেন। পরবর্তীতে তারা দু’জনই শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন প্রান্তে বক্তৃতা দিতে থাকেন। তারা বৌদ্ধ ধর্মীয় সাহিত্য পত্রিকা বিতরণ করে ধর্মীয় শিক্ষা সম্পর্কে সংগ্রহ করতে থাকেন ফান্ড। তাদের সক্রিয় মিশনারী কার্যক্রম বৌদ্ধ ধর্ম প্রসারে শ্রীলঙ্কায় ব্যাপক উত্সাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে শ্রীলঙ্কা দ্বীপ রাষ্ট্রে বৌদ্ধধর্ম অত্যন্ত শক্তিশালী হয়। বিশ্ব বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাসে অতীতকাল থেকে আধুনিককাল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা অতি উজ্জ্বল প্রেরণা হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।