মিরসরাইস্থ ঐতিহ্যবাহী দমদমা গ্রামে জীবন প্রক্রিয়ার শেষ নিদ্রায় শয়নরত,থেরবাদী মূলধারায় প্রবাহিত বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহামন্ডলের সম্মানিত উপদেষ্টা এবং ঐতিহ্যবাহী দমদমা গ্রামের সূর্য সন্তান, চট্টগ্রাম বন্দর বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ, পরম শ্রদ্ধেয় প্রয়াত ভদন্ত আয্যবংশ মহাথের জাতীয় অন্তোষ্টিক্রিয়া আগামী ১০ মার্চ শুক্রবার দমদমা শান্তিনিকেতন বিহার সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানকে ঘিরে বৌদ্ধ পল্লীসমূহে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার নারী-পুরুষের সমাগমে ও পর্যটকের পদভারে দমদমা এলাকা মুখরিত হয়ে উঠবে। ধর্মীয় ভাব গম্ভীর পরিবেশে পূজনীয় ভিক্ষুর দাহক্রিয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
বৌদ্ধ সমাজের রীতি অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারি পেটিকাবদ্ধ অনুষ্ঠানের পর আনুষ্ঠানিকভাবে তার অন্তোষ্টিক্রিয়ার মাধ্যমে শবদাহ করা হচ্ছে। প্রচলিত নিয়মে বৌদ্ধ বিহারের ভিক্ষুর মৃত্যুর পর শবদাহ অনুষ্ঠানটি জাঁকজমকভাবে করা হয়।
সুত্রে জানা গেছে, শেষ কৃত্যনুষ্ঠানের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশী বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু সংঘরাজ ড. ধর্মসেন মহাথের। প্রধান অতিথি থাকবেন মাননীয় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এম,পি।
উল্লেখ্য, বর্ষিয়ান এই সংঘ মনিষা, আবাল্য বা মৃত্যু পযর্ন্ত যার ভিক্ষুত্ব জীবন প্রতিপালন করেছেন,যিনি সুদীর্ঘকাল ৫৬ বৎসর জীব জগতের সকলের কল্যানের জন্য দুঃখ মুক্তির, ধর্ম প্রচার করে অবশেষে কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগের সাথে অনেক দিন যুদ্ধকরে গত ২৩/১/১৭/ ইং সন্ধ্যায় প্রায় ৭ ঘটিকার সময় নিজের জম্মস্থান মিরসরাইস্থ দমদমা শান্তি নিকেতন বিহারে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।