ঢাকা: বর্ণাঢ্য আয়োজনে অতীশ দীপংকর ও বিশুদ্ধানন্দ শান্তি স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়েছে। এবছর শান্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য ৯জন বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে স্বর্ণপদক তুলে দেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সবুজবাগে ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে বৌদ্ধ ইতিহাসের প্রখ্যাত পণ্ডিত অতীশ দীপংকর শ্রীজ্ঞান এবং বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ ও বহু প্রতিষ্ঠানের জনক মহাসংঘনায়ক বিশুদ্ধানন্দ মহাথের শান্তি স্বর্ণ পদক প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি এবং ঢাকার ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের অধ্যক্ষ সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথেরোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া
এ বছর সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় মোট সাতজনকে অতীশ দীপংকর শান্তি স্বর্ণপদক ও দু’জনকে বিশুদ্ধানন্দ শান্তি স্বর্ণপদক দিয়েছে সংগঠনটি।
অতীশ দীপংকর স্বর্ণপদক পদকপ্রাপ্তরা হলেন- ভাজরা মাস্টার জিংক জুয়ানলি (চীন), প্রাথেম পারিয়াত মুনি (থাইল্যান্ড), প্রফেসর কোটাপিটি রাহুলা (শ্রীলংকা), ঝাং লিয়ানঝেন ( চীন), লি যুক টিম (হংকং), সাদিয়া মুনা তাসনিম (থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত), নুহ-উল আলম লেনিন (বাংলাদেশ)।
বিশুদ্ধানন্দ শান্তি স্বর্ণপদক প্রাপ্তরা হলেন- প্রাপাভাদি সামেরভঙ্গস (থাইল্যান্ড) ও এম এ তাহের (বাংলাদেশ)।
এ সময় আরও ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া।
২০০১ সালে এই দু’টি পদক চালু করে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ। এরপর থেকে প্রতি বছরেই এই পদক প্রদান করে আসছে সংগঠনটি।
অনুষ্ঠানে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, বৌদ্ধ ধর্ম পরম সহিষ্ণু ধর্ম। অহিংস ও জীবসেবাই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। পৃথিবীতে যতো মহামানব এসেছেন তারা শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছেন। গৌতম বুদ্ধ তাদেরই একজন।