এই কথা শুনে পাপক তা নাম সম্বন্ধে মধ্যমভাব অবলম্বন করল। অর্থাৎ তার নামের উপর বিরক্তি বা অনুরক্তি রইল না
পাপক এবার নগরের ভিতরে গিয়ে দেখল একটি বাড়ির দরজায় এক দাসীকে এক প্রভু ওপ্রভুপত্নী দড়ি দিয়ে প্রহার করছে।
পাপক এবার নগরের ভিতরে গিয়ে দেখল একটি বাড়ির দরজায় এক দাসীকে এক প্রভু ওপ্রভুপত্নী দড়ি দিয়ে প্রহার করছে।
পাপক তখন সেই দাসীর প্রভুর কাছে জানতেচাইল, আপনারা একে প্রহার করছেন কেন?
প্রভু তখন বলল, এই দাসী আজকের উপার্জনের টাকা পয়সা কিছু আনেনি।
পাপক তখন জানতে চাইল, এর নাম কি?
দাসীর প্রভু বলল, এর নাম ধনপালী।
পাপক আশ্চর্য হয়ে বলল সেকি! এর নাম ধনপালী, অথচ এর একদিনের বেতন দেবার ক্ষমতা নেই।
তারা বলল, নাম ধনপালী হোক, বা অধনপালী হোক, তা কি অদৃষ্টিকে এড়াতে পারে? নামে কি আসে যায়?
প্রভু তখন বলল, এই দাসী আজকের উপার্জনের টাকা পয়সা কিছু আনেনি।
পাপক তখন জানতে চাইল, এর নাম কি?
দাসীর প্রভু বলল, এর নাম ধনপালী।
পাপক আশ্চর্য হয়ে বলল সেকি! এর নাম ধনপালী, অথচ এর একদিনের বেতন দেবার ক্ষমতা নেই।
তারা বলল, নাম ধনপালী হোক, বা অধনপালী হোক, তা কি অদৃষ্টিকে এড়াতে পারে? নামে কি আসে যায়?
নাম শুধু ব্যক্তি কে, এই পরিচয় পাওয়া যায়। তুমি দেখছিঅতি স্থুলবুদ্ধি।
এই কথা শুনে পাপক তা নিজের নাম সম্বন্ধে আগেরবিদ্বেষ ভাব ত্যাগ করল। সে নগর হতে বাইরে গিয়ে পথ চলতে লাগল।
এই কথা শুনে পাপক তা নিজের নাম সম্বন্ধে আগেরবিদ্বেষ ভাব ত্যাগ করল। সে নগর হতে বাইরে গিয়ে পথ চলতে লাগল।
কিছুদূরগিয়ে সে দেখল, একটি লোক পথ হারিয়েছে।
পাপক তার কাছে জানতে চাইল, আপনি কি করছেন?
লোকটি বলল, আমি পথ হারিয়ে ফেলেছি, তাই পথ খুঁজছি।
পাপক তার কছে নাম জানতে চাইল।
লোকটি বলল, আমার নাম পন্থক।
পাপক একথা শুনে আশ্চার্য হয়ে ভাবল, পন্থক মানে যে অপরকে পথ দেখায়।
পাপক তার কাছে জানতে চাইল, আপনি কি করছেন?
লোকটি বলল, আমি পথ হারিয়ে ফেলেছি, তাই পথ খুঁজছি।
পাপক তার কছে নাম জানতে চাইল।
লোকটি বলল, আমার নাম পন্থক।
পাপক একথা শুনে আশ্চার্য হয়ে ভাবল, পন্থক মানে যে অপরকে পথ দেখায়।
তাই সে বল্ল, সেই! যে পন্থক সে পথ হারায় কি করে?
লোকটি বলল, পন্থক হোক অপন্থকই হোক সব লোকই পথা হারায়। নামে কি আসে যায়?
লোকটি বলল, পন্থক হোক অপন্থকই হোক সব লোকই পথা হারায়। নামে কি আসে যায়?
নাম শুধু কোন ব্যক্তি কে, এই পরিচয় জানা যায়। তোমার বুদ্ধি ত দেখছি খুবমোটা।
এবার পন্থক নিজের নাম সম্বন্ধে সম্পূর্ণ রূপে বিদ্বেষ হীন হলো।সে আচার্যের কাছে ফিরে গেল।
এবার পন্থক নিজের নাম সম্বন্ধে সম্পূর্ণ রূপে বিদ্বেষ হীন হলো।সে আচার্যের কাছে ফিরে গেল।
আচার্য তাকে জানতে চাইল, কি বতস নাম নির্বাচনকরে এলে?
পাপক বলল, গুরুদেব , যার নাম জীবক সেও মরে, যার নাম অজীবক, সেও মরে।
পাপক বলল, গুরুদেব , যার নাম জীবক সেও মরে, যার নাম অজীবক, সেও মরে।
যার নাম ধনপালী সেও দরিদ্র হয় আর যার নাম অধনপালী সেও দরিদ্রহয়।
যার নাম পন্থক সেও পথ হারায়, যার নাম অপন্থক সেও পথ হারায়।
নামে কিআসে যায়? এখন দেখছি, নামের কোন সারবত্তা নেই।
নামদ্বারা কোন বস্তু বাব্যক্তি দে কি তা শুধু জানা যায়। নামে সিদ্ধি লাভ হয় না।
সিদ্ধিলাভের উপায় হলো কর্ম। অতএব আমার অন্য নামের প্রয়োজন নেই।
আমার যে নাম আছে তাই থাকুক।
পপকের সব কথা শুনে বোধিসত্ব এই উপদেশ দান করলেন যে, নামে কিছু আসে যায়না।
একমাত্র সিদ্ধিদাতা হচ্ছে কর্ম- এই সত্য যেন সবাই মনে রাখে।
shadu shadu shadu