বাংলা সাহিত্য ও সাংবাদিকতায় সব্যসাচী ঋদ্ধিমান কৃ্তিপুরুষ, আধুনিক মননশীল সমাজ বিনির্মানে সংশপ্তক সংগঠক। বিশ্বমানবতায় শিক্ষা প্রসারে, সমাজ সংস্কারে, সাহিত্যের নবধারা সৃষ্টিতে এবং সাংবাদিকতায় সাহসী দৃপ্ত পদচারণায় যিনি ছিলেন কালোত্তীর্ণ…পুণ্যপুরুষ বিমলেন্দু বড়ুয়া । আগামী ২২ জানুয়ারি, ২০১৭, রবিবার তাঁর আকস্মিক অন্তর্ধানের দশ বছর পূর্ণ হতে চললো। এ উপলক্ষে উক্ত দিনে চট্টগ্রাম শহরের কাজির দেউড়ীস্থ এস এইচ টাওয়ার বাসায় তার পারলৌকিক চিত্ত প্রবাহের মঙ্গল কামনায় মহতি সংঘদান ও স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। মহতি সংঘদান ও স্মরণ সভায় পূজনীয় ভিক্ষুসংঘ এবং প্রাজ্ঞ আলোচকবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। কর্মসূচীর মধ্যে আছে প্রয়াতের প্রতিকৃ্তিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ, স্মরণ সভা ও ধর্মালোচনা, মহতি সংঘদানানুষ্ঠান।
সাহিত্যিক সাংবাদিক বিমলেন্দু বড়ুয়া কর্মজীবনের শুরুতে শিক্ষকতা হলেও সাংবাদিকতায় তিনি দীর্ঘ ৪৫ বৎসর চট্টগ্রামের বহুল প্রচারিত ও জনপ্রিয় দৈনিক আজাদীতে অতিবাহিত করেন। সাহিত্যের বিভিন্নধারায় তাঁর সাবলিল দৃপ্ত পদচারণায় বাংলা সাহিত্যের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে নিঃসন্দেহে। ইতিমধ্যে তাঁর প্রায় ২৫ টির মতো বই প্রকাশিত হয়েছে। অপ্রকাশিত থেকে গেছে আরো ২৫ টির অধিক বই এর পান্ডুলিপি। সাংবাদিক বিমলেন্দু বড়ুয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন কর্তৃক তাঁর বর্ণাঢ্য সাহিত্যিকৃতি ও সমাজসেবার কর্মকান্ডকে ধরে রাখতে ওয়েভসাইট প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্বদের লেখায় সমৃদ্ধ বিমলেন্দু বড়ুয়া স্মারক গ্রন্থ ঢাকা থেকে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, দীর্ঘ তিন মাস জাপান পরিভ্রমণ শেষে তিনি গত ২০০৭ এর ১০ জানুয়ারী স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন এবং ১৩ জানুয়ারী দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়ে ২২ জানুয়ারী ঢাকাস্থ এ্যাপলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)