‘আমাদের প্রয়োজন সত্যিকারের অহিংস মানসিকতার
পটিয়ার ঐতিহ্যবাহী পাঁচরিয়া গন্ধকুটি বিহারে দুইদিন ব্যাপী শীলা বুদ্ধ ও বাইশ বুদ্ধের মেলায় বক্তারা
শান্তি ও চিত্তশুদ্ধির জন্য প্রয়োজন সত্যিকারের অহিংসা মানসিকতার। পরম সুখই সকল মানুষের কাম্য। সুখ পেতে হলে দু:খকে নির্মূল করা প্রয়োজন। দু:খকে নিমূল করার উপায় হল নির্বাণ। নির্বাণের কারণে দু:খ সম্পূর্ণ ক্ষয় হয়। আসে মুক্তি।’
শুক্রবার (২০জানুয়ারি) বিকেলে পটিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পাঁচরিয়া গন্ধকুটি বিহারে দুইদিনব্যাপী শীলাবুদ্ধ ও বাইশবুদ্ধের মেলার
সমাপনী দিনের ধর্মসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
ধর্মসভায় বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার সভাপতি সদ্ধর্মজ্যোতি শ্রীমৎ সুনন্দ মহাথের’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি’র ছিলেন, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার সহ-উপসংঘনায়ক শ্রীমৎ জীবনানন্দ মহাথের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উর্ধ্বতন সহ-সভাপতি শ্রীমৎ শীলভদ্র মহাথের, অধ্যাপক সুমেধানন্দ মহাথের, শ্রীমৎ বিপস্সী মহাথের প্রমুখ।
অধ্যাপক সত্যানন্দ বড়ুয়া ও টিপলু বড়ুয়ার সঞ্চালনায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন, বিহারাধ্যক্ষ, ভিক্ষু মহাসভার মহাসচিব শ্রীমৎ বোধিমিত্র মহাথের। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দোলন বড়ুয়া। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন লিটন বড়ুয়া।
সভায় বিহারের জ্ঞানদ্যুতি স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এছাড়া রাতে নাট্যকার নিউটন বড়ুয়া পরিচালনায় সামাজিক নাটক ‘ভিখারীনী মা’ পরিবেশিত হবে।
প্রসঙ্গত, ১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দে বৌদ্ধরা আরাকান বা বার্মা চলে যাবার সময় বুদ্ধমূর্তি মাটি নিচে লুকিয়ে রেখেছিল তা পাঁচরিয়া দিঘিরপাড় খননকালে ছোট ছোট বাইশটি অষ্টধাতুর প্রাচীন বুদ্ধমূর্তি উদ্ধার হয়। যা পাঁচরিয়া গন্ধকুটি বিহারে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। পরবর্তীতে ২০১০ সাল থেকে এ শীলাবুদ্ধ ও বাইশবুদ্ধের মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।