চন্দনাইশ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সাতবাড়িয়া সাংস্কৃতিক ও নাট্যগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সহ-সভাপতি, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ও নাট্য কর্মী, সংগীতশিল্পী চুমকি বড়ুয়াবান্দরবানে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে ১৬ দিন পাঞ্জা লড়ে অবশেষে ১৭ জানুয়ারি ২০১৭ মঙ্গলবার রাত সাড়ে এগারটায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৬ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন। তাঁর মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে চট্টগ্রাম সহ চন্দনাইশ সাতবাড়িয়ায় সাংস্কৃতিক কর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। সংগীতশিল্পী চুমকি বড়ুয়া ১৯৯৪ সাল থেকে সাতবাড়িয়া বেপারী পাড়া, সাতবাড়িয়া, দোহাজারী বিজয় মেলা, গাছবাড়িয়া বিজয় মেলা, পটিয়া হাইদগাঁও বিজয় মেলা ও চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কৃতিত্ব অর্জন করেন। আধুনিক, দেশাত্মবোধক ও মরমী গানে চুমকি বড়ুয়ার কণ্ঠে সুমধুর। যা দিয়ে তিনি হাজার হাজার দর্শককে আলোড়িত করতেন। জাদুঘরি সুরের মূর্ছনায় দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেন চুমকি বড়ুয়া। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, এক ছেলে, এক মেয়ে সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। চন্দনাইশের সাতবাড়িয়াস্থ বেপারী পাড়ার রতœাঙ্কুর বিহারে তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠান ১৮ জানুয়ারি বুধবার সম্পন্ন হয়। সংগীতশিল্পী, নাট্য ও সাংস্কৃতিক কর্মী চুমকি বড়ুয়ার অকাল প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন সাতবাড়িয়া সাংস্কৃতিক ও নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি হুমায়ুন কবির মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন মিঠু, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি সোহেল মো. ফখরুদ-দীন, নাট্যজন প্রণব বড়ুয়া, নাট্য নির্দেশক প্রণয় বড়ুয়া টিটু, সাংস্কৃতিক কর্মী আশীষ বড়ুয়া, ওস্তাদ লিটন বড়ুয়া, সাংবাদিক এ কে এম আবু ইউসুফ, ইকরাম উল্লাহ টুকু, অনুকর বড়ুয়া, উজ্জ্বল বড়ুয়া, তন্ময় বড়ুয়া, রুমেল বড়ুয়া, মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, পিপলু বড়ুয়া, হ্যাপী আকতার, মোহাম্মদ নুরুল আলম, মহিউদ্দিন চৌধুরী ইছা প্রমুখ এক যুক্ত বিবৃতিতে প্রয়াত সংগীতশিল্পী চুমকি বড়ুয়ার আত্মার সদগতি কামনা করে তাঁর পরলৌকিক সদগতি কামনা করেছেন।