ঢাকা: অনোমা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী’র প্রণোদনায় প্রবর্তিত ‘ড. বেণীমাধব ও ফণীভূষণ স্মারক বক্তৃতামালা’র একাদশ বক্তৃতানুষ্ঠান গত ১৩ জানুয়ারি (শুক্রবার) বিকেল সাড়ে চারটায় এবার প্রথম ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের আর, সি, মজুমদার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনেয়াজ বাংলাদেশের বৌদ্ধ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে স্মারক বক্তৃতা দেন।
সুভাষ চন্দ্র রাজবংশীর সভাপতিত্বে ত্প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্টপতি কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া । বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। উদ্বোধন করেন রবীন্দ্র চেয়ার অধ্যাপক ড. মহুয়া মুখোপাধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় । স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের মহাসচিব আশীষ কুমার বড়ুয়া। সঞ্চালনা করেন চারুলতা অনলাইন সম্পাদক চারু উত্তম বড়ুয়া।অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. অসীম রঞ্জন বড়ুয়া, বৌদ্ধ সমিতি ঢাকা শাখার সাধারন সম্পাদক স্বপন বড়ুয়া চৌধুরী, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রষ্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভুষন বড়ুয়া। ধনবাদ জ্ঞাপন করেন তুষার কান্তি বড়ুয়া। স্মরক বক্তার জীবনী পাঠ করেন সুজন কুমার বড়ুয়া, মানপত্র পাঠ করেন এডভোকেট জিকো বড়ুয়া। শুরুতে শিল্পী শরণ বড়ুয়া জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সুচনা করা হয়।
দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দও বলেন-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি চর্চা ও রক্ষায় সরকারের মাথাব্যাথা নেই। স্বাধীনতার ৪৫ বৎসর পরও আমাদের সন্তানরা কি পাঠ করবেন সেটি ঠিক করতে পারেনি জাতি।সে জায়গায় অনোমা সংস্কৃতিচর্চায় যে ভূমিকা রেখে চলেছে তা প্রজন্মকে অনুপ্রানিত করবে নিঃসন্দেহে।প্রধান অতিথি,রাস্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া বলেন-সংস্কৃতি হচ্ছে বহতা নদীর মতো।অনোমা বৌদ্ধদের অবলুপ্ত ইতিহাস ঐতিহ্য সন্ধানে যে কাজ করছে তা জাতিকে সঠিক দিকনির্দশনা দিবে।চট্রগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে অনুষ্টান করে যে সাহস অনোমা দেখিয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংশনীয়।ড.এ,কে,এম শাহনাওয়াজ বলেন–বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অন্চলে মাটির নীচে যে বৌদ্ধ সভ্যতা লুকিয়ে আছে এগুলো সংরক্খনের কোন মাথাব্যাথা সরকারের তেমন নেই।বাংগালি ঐতিহ্যের এই নির্দশনগুলো জাতির অমূল্য সম্পদ।