এশিয়ান প্যাসিফিক ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আমন্ত্রণে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলের (এসডিজি) ওপর দক্ষতা অর্জনের জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককে যাচ্ছেন বান্দরবানের রোয়াংছড়ির কৃতী সন্তান উসাই ম্যা। ১০ দিনব্যাপী কর্মশালায় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি।২১টি দেশের (আমেরিকা, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, ব্রাজিল, চীন, হংকং, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, পাপুয়া নিউ গিনি, পেরু, রুমানিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, তাঞ্জানিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ভিয়েতনামের ২৫০ জন প্রতিনিধি যোগ দেবেন এ কর্মশালায়।উসাই ম্যা বলেন, একজন আদিবাসী হয়ে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি অনেক খুশি। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উসাই ম্যা ৯ জানুয়ারি থাইল্যান্ডের ব্যাংককের উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন। ১০ থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি ব্যাংককের কর্মশালায় এসডিজি অর্জনের ১৭টি টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যের মধ্যে অ্যাডুকেশন কোয়ালিটির ওপর দক্ষতা অর্জন করবেন। উসাই ম্যা ২২ জানুয়ারি বাংলাদেশে ফিরবেন বলে জানান তার স্বজনরা। তারা আরো জানান, উসাই ম্যা বাংলাদেশের পক্ষে আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে ব্যাংককে প্রতিনিধিত্ব করবেন।আরো জানা যায়, উসাই ম্যা বান্দরবান রোয়াংছড়ি উপজেলার নতুনপাড়া এলাকার কৃতী সন্তান। বর্তমানে চট্টগ্রাম এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উমেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির শেষ বর্ষের ছাত্রী। তারা বাবা রোয়াংছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অংসা জাই (আচিং)। মা ম্যা ম্যা চিং রোয়াংছড়ি পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে বড় সন্তান তিনি।উসাই ম্যা’র বাবা অংসা জাই (আচিং) জানান, আমার মেয়ের জন্য আমি গর্বিত। ওই কর্মশালায় আদিবাসীদের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করবেন আমার মেয়ে।