সুপ্রিয় চাকমা শুভ
রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে বৌদ্ধ আর্যপুরুষ সর্বজনপূজ্য মহাসাধক শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের ৯৮তম শুভ জন্মদিন উপলক্ষে এবং দেব-মানব তথা সকল প্রাণী হিতসুখ মঙ্গললার্থে সদ্ধর্মপূজা (ত্রিপিটক পূজা) এবং ত্রিপিটক পাঠ উদ্বোধনে রাঙামাটিতে বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
পূজ্য বনভন্তে ও বনভন্তের সাধনাতীর্থ রাজবন বিহার থেকে আজ ৩রা জানুয়ারি মংগল বার বৃহৎ আকারে পবিত্র ত্রিপিটক (ধর্মীয়) র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই র্যালিটি শোভাযাত্রাসহকারে রাজবন বিহার প্রাঙ্গণ হতে দুপুর ১ঘটিকায় শুরু হয়ে বিভিন্ন স্থান হতে শত শত গাড়ি যোগ দিয়ে বিশাল গাড়ি বহর যোগে পুরো রাঙামাটি শহর পরিভ্রমণ করে বিকেল ৫.৩০ মিনিট এ রাজবন বিহারে গিয়ে মিলিত হয়।
বনভান্তের জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠানে সময়সূচি অনুযায়ী, সোমবার পরমপূজ্য বনভান্তের জন্মস্থান মোরঘোনায় পূজ্যভান্তের উদ্দেশ্যে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালিত হয়। সদ্ধর্মপূজা (ত্রিপিটক পূজা) এবং ত্রিপিটক পাঠ উদ্বোধন ৭দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার হতে শনিবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে ১০টা এবং বিকাল ৪টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভিক্ষুসংঘের ত্রিপিটক পাঠ ও মঙ্গল প্রদ্বীপ প্রজ্জলন এবং ৮জানুয়ারী পরমপূজ্য বনভান্তের ৯৮তম জন্মদিন উদযাপন করা হবে।
পূজ্য বনভান্তের জন্মস্থান মোরঘোনা, বরআদাম স্মৃতি মন্দিরে হাজার হাজার ভক্ত পুণ্যার্থীর সমাগমে ৩য় বারের মত পূজ্য বনভান্তের “স্মৃতিস্তম্ভ” পূজা অনুষ্ঠিত হয় ।গত ২জানুয়ারী সোমবার পূজ্য বনভান্তের প্রধান তম শিষ্য শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাথের সহ কয়েকজন জ্যৈষ্ঠ শিষ্য বনভান্তের জন্মস্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে বনভান্তের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে এ বণাঢ্য অনুষ্ঠানের প্রারম্ভিক সুচনা হয়।
উল্লেখ্য যে পুজ্য শ্রীমৎ সাধনা নন্দ মহাস্থবির বনভান্তে ১৯২০ সালে ৮ই জানুয়ারী রাঙামাটি জেলার মগবান ইউনিয়নের মোরঘোনা নামক স্থানে জন্ম গ্রহন করেন। তাঁহার পিতার নাম হারুমোহন চাকমা এবং তিনি পূণ্যবতী মহয়সী বীরপুদি চাকমার গর্ভে জন্ম লাভ করেন।