চিত্রকলা ও ভাস্কর্য
শব্দের এক্সিবিশনে বৌদ্ধ ভাস্কর্যকলা, একটি ভ্রমণ | মেহেরাব ইফতি
১
এটা ছিল পরিভ্রমণের মতো। চারিদিকে চুন্ডা, হেরুক, তারা, হারিতি, মারীচ, পর্ণশবরী, প্রমুখ বৌদ্ধ দেব-দেবীর ভাস্কর্যগুলো দাঁড়িয়েছিল; তাঁরা একেক করে স্বাগত জানাচ্ছিল। ৮৫টি বিরল ও দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্যের সমন্বয়ে সাজানো হয়েছিল বৌদ্ধ ভাস্কর্যের বিশেষ প্রদর্শনীটি। বিরল বলার কারণ এই যে, পৃথিবীর অন্য কোন জাদুঘরে এ ধরনের বিরল ও বিচিত্র বুদ্ধমূর্তি একসাথে দেখতে পাওয়া যাবে না। বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত সকল ভাস্কর্যকে একত্রিত করে প্রদর্শনীটির আয়োজন করা হয়। বলেছিলাম, পরিভ্রমণের মতো। কেনো? একটি ঘরের মধ্যে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে কয়েকশো বছরের ভাস্কর্যের ইতিহাস এবং তা স্বচক্ষে পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে।
বাংলা অঞ্চলে ভাস্কর্য শিল্পের সূত্রপাতের সঠিক সময় নির্ধারণ করা কঠিন। ভাস্কর্য প্রাচীনকাল থেকে এবং মধ্যযুগের প্রাথমিক পর্যায় (১২০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত) পর্যন্ত বাংলা ও পূর্ব ভারতের ওপর তার রাজনৈতিক সম্প্রসারণ ও সঙ্কোচন উভয়ই প্রত্যক্ষ করেছে। যদিও নিম্ন গাঙ্গেয় বাংলা বা দক্ষিণ বাংলা কমপক্ষে খ্রিস্টপূর্ব দুই শতক থেকে পোড়ামাটির শিল্পের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিল, তবুও এমন কোন সুস্পষ্ট প্রমাণ নেই যা থেকে বলা যায় যে, এ অঞ্চলে ভাস্কর্য শিল্পটি ঐ সময় থেকে তার যাত্রা শুরু করেছিল।

বাংলা অঞ্চলের ভাস্কর্য শিল্পের ইতিহাসে বৌদ্ধ ভাস্কর্য একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এই শিল্পের একটি ধারাবাহিক ইতিহাস আছে। বৌদ্ধ দর্শনের (জগৎ, জীবন সম্পর্কে গৌতম বুদ্ধের বানী, উপদেশ, নীতি, বিধান) প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ (আনুমানিক ৫৬০-৪৮০ খ্রি. পূ.) নিজে মূর্তিপূজার বিরোধী ছিলেন। অশ্বঘোষের সৌন্দরানন্দ কাব্যে বুদ্ধ নিজে সৎ ভাই নন্দকে পূজার ভঙ্গিতে তাঁর পদস্পর্শ করতে নিরুৎসাহিত করেছিলেন। বুদ্ধের মহানির্বাণের ৪০০ বছরের মধ্যে বৌদ্ধ ধর্মে মূর্তিপূজার প্রচলন হয়নি। কিংবদন্তি অনুসারে গৌতম বুদ্ধ তিনমাসের জন্য তাবতিংসে তার মা ও ঋদ্ধিমান দেবতাদের অভিধর্ম দেশনা করতে গেলে তাঁর অবর্তমানে বুদ্ধ ভক্ত রাজা প্রসেনজিৎ চন্দন কাঠের একটি বুদ্ধমূর্তি তৈরী করে বুদ্ধের উদ্দেশ্য শ্রদ্ধা নিবেদন করতেন। তবে এ ঘটনার যুক্তিযুক্ত কারণেই কোন বিশ্বাসযোগ্য দলিল নেই। মৌর্য শিল্পকলায়ও (সম্রাট অশোককের রাজত্বকালে) বুদ্ধ মূর্তি দেখা যায় না। এরপরে, বৌদ্ধ শিল্পকলায় বুদ্ধ মূর্তির প্রতীক হিসেবে ধর্মচক্র, উষ্ণীশ, বোধিবৃক্ষ, ভিক্ষাপাত্র, স্তুপ ইত্যাদি ব্যবহার করা হতো। গৌতম বুদ্ধের ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, দেহাবশেষ, স্তূপ সংরক্ষণ করা হতো এবং এ সকল পাথরে খোদাই করে রাখা হতো। বুদ্ধের দেহাবসানের ৪০০ বছর পরে গান্ধার শিল্পে সর্বপ্রথম বৌদ্ধ মূর্তি নির্মাণের ধারা প্রচলিত হয়।
২
গান্ধার শিল্পকে ‘গ্রিক-বৌদ্ধ’ শিল্প বলে অবহিত করা হয়। এর কারণ হচ্ছে, আজ থেকে প্রায় ২০০০ হাজার বছর আগে গ্রিক ভাস্কররা স্বেচ্ছায় বৌদ্ধমূর্তি নির্মাণে অনুপ্রাণিত হয়েছিল। ভাস্কর্য ইতিহাসে এটি এক বিরল ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। এই ঘটনা ভারতবর্ষে জন্ম দিয়েছিল গান্ধার নামক এক অভূতপূর্ব শিল্পরীতির। অনেকে এই শিল্পকে আবার ভারতীয় শিল্পে আরোপিত গ্রিক শিল্পরীতির স্থানীয় প্রকাশ বলে বর্ণনা করেছেন। অনেকে আবার মনে করেন, গান্ধার শিল্পের ভাস্করের অন্তরটি ছিল ভারতীয় কিন্তু হাত দু’টি ছিল গ্রিক!
গান্ধার ভাস্কর্যের সৃষ্টি হল গ্রীক, রোমান ও পারসিক ভাস্কর্যের সঙ্গে ভারতীয় ভাস্কর্যের সংমিশ্রনে। অনেকের মতে হারকিউলিস, এ্যাপোলো, জিউস ইত্যাদি গ্রীক দেব-দেবী মূর্তির অনুকরনে গান্ধারের শিল্পীগণ বুদ্ধমূর্তি নির্মাণ করেছিলেন (কিংবদন্তী আছে যে, প্রথমে ভারতীয় শিল্পীরা বুদ্ধমূর্তি নির্মাণে ব্যাপারে সাহসই করেনি। মূর্তিতে বুদ্ধের মহাপুরুষ লক্ষণ গুলো ফুটিয়ে তোলা ভারতীয় শিল্পদের মনপুতঃ হয়নি)। ফলে এখানকার উপাদান ভারতীয় হলেও নিমার্ণ কৌশলের দিক দিয়ে এগুলো গ্রীক প্রভাবে প্রভাবিত। তাই তারা বুদ্ধ মূর্তির মধ্যে কখনো দাঁড়ি বা গোঁফ আরোপ করেছেন। এই সময়কার বুদ্ধের এই মূর্তিগুলো ছিল বিদেশী ভাস্কর্যের ‘লেটএন্টিক’ পদ্ধতিতে সৃষ্টি এক জটিল পটশিল্প।
গান্ধার শিল্পের একমাত্র বিষয় ছিল বুদ্ধ এবং বৌদ্ধধর্ম। বুদ্ধ এর আগেও ভারতীয় শিল্পের বিষয় ছিলেন কিন্তু সেখানে কোন প্রতীকীরূপেই বৌদ্ধমূর্তির স্থান ছিল না। গান্ধার শিল্প বুদ্ধমূর্তি তৈরি করে নতুন ধারার প্রচলন করেন। গান্ধার শিল্পের অন্যতম বৈশিষ্ট্য বুদ্ধকে মুখমন্ডলের অভিব্যাক্তিসহ মানবরূপে দেখানো (যা বৌদ্ধ ধর্মের একটি ধারা ‘মহাযানের’ বিশেষ কীর্তি)।
৩
বৌদ্ধ ভাস্কর্যকলা বুঝতে হলে দুটি জিনিস গুরুত্ব বহন করে। সেগুলো হচ্ছে বৌদ্ধ ধর্মের ধারা। এটি প্রধানত দুইভাগে বিভক্ত- ১. হীনযান, ২. মহাযান।
শিষ্যদের মধ্যে বুদ্ধ মৌখিকভাবে উপদেশ দিতেন। জীবদ্দশায় তিনি বৌদ্ধসঙ্ঘ স্থাপন করেন। তবে বুদ্ধ নিজে কোন দার্শনিক আলোচনা পছন্দ করতেন না বলে দার্শনিক প্রশ্নের উত্তরে তিনি নীরব থাকতেন। তাঁর এই নীরবতা পরবর্তীকালের বৌদ্ধ দার্শনিকদের মধ্যে অনেক মতভেদের সৃষ্টি করেছিলো। ফলে বৌদ্ধদর্শনে বিভিন্ন দার্শনিক সম্প্রদায়ের উদ্ভব হয়েছিলো। তারই প্রধান দুটি ধারা হচ্ছে, হীনযান এবং মহাযান।
বাংলা অঞ্চলে গুপ্ত যুগের (চতুর্থ-ষষ্ঠ) পূর্ব পর্যন্ত হীনযানের প্রভাব বেশি ছিল। একে স্থবিরবাদ বা থেরবাদও বলা হয়ে থাকে। থেরবাদ বা হীনযান বৌদ্ধ ধর্মকে বিশুদ্ধতর ও মৌলিক মনে করা হয়। এই ধর্ম সাহিত্য রচিত হয়েছে পালি ভাষায়। অন্যদিকে প্রাকৃত শব্দ ‘মহাজান’ বা ‘মহাজ্ঞান’ থেকে ‘মহাযান’ শব্দটির উৎপত্তি। শব্দটি সংস্কৃতে রুপান্তরিত করার সময় পরিবর্তন হয়ে যায়। মহাযান বৌদ্ধধর্মকে আংশিকভাবে মৌলিক আর আংশিকভাবে সংযোজিত মনে করা হয়। মহাযানীদের ধর্ম সাহিত্য রচিত হয়েছে সংস্কৃত ভাষায়। ভৌগলিক দিক থেকে অনেকে মহাযানকে উত্তরমুখি বৌদ্ধধর্ম এবং হীনযানকে দক্ষিণমুখী বৌদ্ধধর্ম বলেন।
হীনযান মতবাদের উদ্ভব হয়েছিল গৌতম বুদ্ধের নির্বাণ বা মৃত্যুর অনেক পরে। মহাযানপন্থীরা নিজেদের পথকে মহত্তর পথ আর হীনযানকে নিম্নপথগামী মনে করেন। হীনযান মতে, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও তপস্যার দ্বারা মুক্তি বা নির্বাণ লাভের অধিকারী হওয়া যায়। অন্যদিক দিক দিয়ে, মহাযানীরা নির্বাণের প্রত্যাশী নন। তারা গৌতম বুদ্ধের মতো বুদ্ধত্ব লাভের প্রত্যাশী। গৌতম বুদ্ধ ধর্মচক্র প্রবর্তন সূত্র প্রবর্তন করে সর্বপ্রথম যে ধর্মোপদেশ প্রধান করেন তাতেই হীনযানীরা সাধনার পথ খুঁজে পেয়েছে। অন্যদিকে, মহাযানীরা সার্বভৌম মুক্তির লক্ষ্যে বোধিসত্ত্বকেই মুখ্য উপায় বলে সমাদর করেছে।
৪
পূর্বেই বলেছিলাম যে, বৌদ্ধ ভাস্কর্যকলা বুঝতে হলে এই দুটি জিনিস খুব গুরুত্ব বহন করে। কেননা,
মহাযানীদের কল্যাণেই বৌদ্ধ ভাস্কর্য কলা একটি ধর্মীয় রূপ পেয়েছে। হীনযান ছিল নিরীশ্বরবাদ স্বীকৃত। বুদ্ধের ‘আত্মদীপো ভব’ এই বচনে গুরুত্ব দিয়ে মুক্তির জন্য জীবকেই স্বয়ং যত্নশীল হতে হয়। কিন্তু মহাযানে ঈশ্বর স্বীকৃত এবং বুদ্ধকে ঈশ্বর মনে করে ‘দশভূমি’র উপর বুদ্ধ মূর্তি স্থাপন করে তাঁর পূজা-অর্চনা করা হয়। তাঁদের মতে বুদ্ধ হচ্ছেন স্বয়ং কল্যাণময় সমস্ত সংসার তাঁর কল্যাণপাত্র। অর্থাৎ, হীনযানে বুদ্ধকে মানুষ হিসেবে ভাবা হয়েছে, আর মহাযানে তাঁকে ঈশ্বররূপে প্রতিষ্ঠিত করে তাঁর উপাসনা স্বীকৃত হয়েছে। এখানেই ভাস্কর্যকলার সাথে মহাযানীদের যোগসূত্র বিদ্যমান।
প্রতীকের বদলে বুদ্ধমূর্তির উপাসনা মহাযান বৌদ্ধধর্মের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কুষানরা মহাযান বৌদ্ধধর্মই গ্রহন করেছিল। কাজেই গান্ধার শিল্পের সঙ্গে মহাযান বৌদ্ধধর্মের সম্পর্ক গভীর। কুষাণ যুগে বৌদ্ধমূর্তির ব্যাপক চাহিদা ছিল। বুদ্ধের মূর্তিগুলি গ্রিক ভাস্করেরা নির্মাণ করেছিল বলেই গ্রিক দেবতা অ্যাপোলোর ছাপ ছিল। যে কারণে ঐতিহাসিক রোমিলা থাপর লিখেছেন:
“In the north-west the hybrid Indian-Greek forms of Gandhara art depicted, almost exclusively, Buddhist themes, in which the mother of the Buddha resembled an Athenian matron and a variety of Apollo-like faces went into the making of a Buddhist scene.”
গান্ধার শিল্পের নিদর্শন হিসেবে যে সব বুদ্ধমূর্তি পাওয়া গেছে, তাদের দৈহিক গঠন একেবারে নিখুঁত। এখানে গ্রীক-রোমান শিল্পরীতির প্রভাব সুস্পষ্টভাবে দেখা গেলেও আদর্শ ও সত্তা ছিল ভারতীয়। গান্ধার শিল্পে গ্রিক ও ভারতীয় শিল্পের মিশেল ঘটলেও আলাদা করে দেখা সম্ভব। যেমন বুদ্ধের মূর্তিতে গ্রিক দেবতা অ্যাপোলোর ছাপ থাকলেও মূর্তির চোখ, ঠোঁট ও মুখমন্ডলে সনাতন ভারতীয় ছাপ স্পষ্ট। মূর্তির দেহে গ্রিক রীতি স্পষ্ট। যেমনঃ কোঁকড়ানো চুল, কিছুটা ঝুলন্ত কান, সিংহ গ্রীবা, উন্নত কাঁধ এবং মাংশপেশীবহুল বাহু। ভারতীয় রীতি হল: ধ্যানী বুদ্ধে অর্ধনিমীলিত চোখ, হাসিমাখা ঠোঁট, প্রশান্ত মুখমন্ডল এবং ভূমিস্পর্শ মুদ্রা। দশ শতকের বুদ্ধমূর্তি উপস্থাপিত হয়েছে গুপ্তোত্তর যুগের আনুমানিক আদলে, উপরের দিকে পাঁচটি ধ্যানী বুদ্ধ ও দুপাশে দুটি বোধিসত্ত্বসহ যথোপযুক্ত জ্যোতিশ্চক্র মন্ডিত হয়ে।
মহাযানপন্থীরা প্রথমে বুদ্ধকে দেবতার মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করে পূজা শুরু করেন। গুপ্ত পরবর্তী সময়ে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পালদের রাজত্বকালে বাংলা, বিহার এবং বিশেষ করে দক্ষিণ পূর্ব বাংলায় তন্ত্রবাদের ব্যাপক প্রচলন ঘটে। পাল, দেব ও চন্দ্র রাজবংশের রাজাগণ তান্ত্রিক মহাযানী মতবাদের অনুসারী ছিলেন। এ সময়ে নানা প্রকার বৌদ্ধ মূর্তি বা ভাস্কর্য নির্মিত হয়। বৌদ্ধ তন্ত্রমতে সৃষ্টির আদি ও মূল উৎপত্তি স্থল শূন্য। এই শূন্যই বজ্র যে পন্থায় শূন্যের সাথে মিলিত হওয়া যায় তা শূন্যযান বা বজ্রযান। দেবতার দর্শন বা পূজা বজ্রযানে বিশেষত্ব।
এতক্ষন আমরা কোথায় ছিলাম? সেই কুষান, মৌর্য, পাল, গুপ্ত, দেব, চন্দ্র, গ্রীক, গান্ধার সব ঘুরে চলে এসেছি! এই জন্যই বলা যে, এটা হচ্ছে ‘পরিভ্রমণের’ মতো। ভ্রমণটি ছিল গত ২৮ অক্টোবর থেকে ১১ নভেম্বরের মধ্যে একটি স্বল্পসময়ের বৌদ্ধ ভাস্কর্য দর্শন। স্থানঃ বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর। আশা করি, এমন প্রদর্শনী বাংলাদেশে আরো বেশি হবে এবং স্থাপত্যকলার নেশা মানুষের মন ও চোখকে ভরিয়ে দিবে।
দোহাইঃ
১. এ কে এম শাহনাওয়াজ; ভারত উপমহাদেশের ইতিহাস (প্রাচীন যুগ)
২. বাংলাপিডিয়া
৩. সুনীল চট্টোপাধ্যায় ; প্রাচীন ভারতের ইতিহাস (প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ড)
৪. হরপ্পা (ব্লগ)
৫. Romila Thapar A Hisory of India (Vol.1)
৬. অনিক কান্তি সরকার (ব্লগ)
৭. ভারতের ইতিহাস (অতুলচন্দ্র রায়)
৮. উইকিপিডিয়া
__________________________
মেহেরাব ইফতি: কবি, গদ্যকার।