সুপ্রিয় চাকমা শুভ, রাঙামাটি
বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে মানব সভ্যতার ইতিহাসে বৌদ্ধদের অবদান অন্যতম। এমন কি মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বৌদ্ধরা অন্যতম ভূমিকা পালন করছে। আর ভূমিকা রাখতেছে মানব সভ্যতাকে অহিংময়, করুমাময়, মৈত্রীপূর্ণ করে তুলতে।
তেমনি পুলেশ বিকাশ দেওয়ানের উদ্যােগে এবং ভূমি দাতা মন মোহন চাকমা, কৃষ্ণ মোহন চাকমা, মনু মোহন চাকমা, বিরাজ মোহন চাকমা (৪ ভাই), সাধন কুমার চাকমা, গোভিন্দ চাকমা, বৃক্ষমণি চাকমা ( ৩ ভাই), সাধন কুমার চাকমা ও তার ভাই বর্তমান ৬নং বালুখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিজয়গিরি চাকমা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের আনুমানিক ১৫-১৬ একর জমি দান করার মধ্যে দিয়ে ভদন্ত শ্রীমৎ ধর্মতিষ্য মহাস্থবির ভিক্ষুর অনুকরনে রাঙামাটি সদর উপজেলার ৬নং বালুখালী ইউনিয়নের ১২৩ নং হেমন্ত মৌজার মাস্টার পাড়ার নিকটবর্তী হেমন্ত কিজিং পাড়ার নামক দ্বীপে গড়ে তোলেন সুবিশাল বৌদ্ধ মন্দির, বুদ্ধ মূর্তি সহ বৌদ্ধ ভিক্ষুদের আবাসিক স্থান। বৌদ্ধ বিহারের চারদিকে রয়েছে পাহাড় আর পানি। রাঙামাটি শহর থেকে বরকল সুবলং যাওয়ার পথে দেখা যায় বৌদ্ধ মন্দিরটি। কাপ্তাই হ্রদের অজস্র জলরাশির মাঝখানের দ্বীপে এই বৌদ্ধ মন্দিরটি নির্মান করা হয়। এবং বৌদ্ধ মন্দিরটির নাম দেওয়া হয় ‘নির্বান নগর বন বিহার’। এবং বৌদ্ধ মন্দিরের মাঝ খানে দাড়িয়ে থাকা ২৯ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতায় একটি বিরাট বুদ্ধ মূর্তি নির্মান করা হয়। এ যেন বিশ্ব বাসীকে হাতছানি দিয়ে কাছে ডাকছে মানব সভ্যতার উন্নয়নের জন্য। প্রতিদিন পূর্ণাথীদের পূজা অনুষ্ঠানের মিলন মেলা বাদে ও বিহার প্রাঙ্গনে দর্শনার্থীদের সমাগম এ যেন মহা সমাবেশে পরিনত হয়ে উঠে।
৬নং বালুখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিজয়গিরি জানান, সুবিশাল এই বুদ্ধ মন্দির, বুদ্ধ মূতি, আবাসিক গড়ে তোলার পেছনে পুলেশ বিকাশ চাকমার উদ্যোগে ২০০৯ সালে নির্মান শুরু হয়। এবং অন্যতম ভূমি রাখেন ভদন্ত শ্রীমৎ ধর্মতিষ্য মহাস্থবির ভিক্ষু, ভূমি দানকারী সহ এলাকার স্বধর্মপ্রান ব্যক্তিরা। এই বুদ্ধ মন্দিরটি প্রতিষ্ঠার পর আমাদের দূরে ভাবনা,পূণ্য করার জন্য যেতে হয়না। আমরা বিশ্ব সকল প্রাণীর মঙ্গল কামনা করছি।