সৌম্য অবয়ব। নিবিষ্ট মনে স্থির দাঁড়ানো এক প্রতিমূর্তি তার। বহুদূর থেকেই পাহাড়ের ভাজে অল্প ফাঁক দিয়েই চোখে পড়ে তার সোনালী মূর্তির উন্নত শির। চারদিকে বিস্তীর্ণ জলরাশি ভেঙে, পাহাড় ডিঙিয়ে যতোই কাছাকাছি যাওয়া যায়, ততই স্পষ্ট হয়ে ওঠে সু্ুউচ্চ পাহাড় চূড়ার মাঝ বরাবর তার দেহ কাঠামো।
রাঙামাটির পানিবেষ্টিত দুর্গম উপজেলা বরকল যাওয়ার পথে বিখ্যাত শুভলং ঝরনার আগে এক পাহাড় চূড়ায় তৈরি করা হয়েছে এ বুদ্ধ মূর্তি। যে পাহাড় চূড়ায় এ বুদ্ধ মূর্তি তৈরি করা হয়েছে সে এলাকার নাম শিলছড়ি। তবে এ পাহাড়ের ওপর যে বিহার গড়ে উঠেছে তার নাম নির্বাণ নগর।এখানে কয়েকজন ভান্তে থাকেন। প্রধান ভান্তে ও বিহারের অধ্যক্ষের নাম ধর্মতীস্য ভান্তে। আরেক প্রধান ভান্তে নন্দপাল ভান্তে। তারা রাঙামাটির রাজবন বিহারের প্রয়াত ধর্মগুরু বড়ভান্তের শিষ্য। ১৫ একর জায়গা নিয়ে গঠিত এ বিহার তৈরি হয়েছে প্রায় ৪ বছর আগে। এখানে রয়েছে কয়েকটি কুটির। এসব তথ্য জানালেন দীপন চাকমা নামে এক তরূণ। নির্বাণ বিহার পার হয়ে শুভলং এলাকার পাহাড়ি বাসিন্দা তিনি। রাঙামাটি শহরে কাজ করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের এক কর্মী হিসেবে। নিজে ও পরিবারের সঙ্গে প্রবারণা, কঠিন চীবর দানসহ নানা অনুষজ্ঞ ও উৎসবে নির্বাণ বিহারে গেছেন তিনি। দীপক জানালেন, দণ্ডায়মান মূর্তিটির আনুমানিক উচ্চতা ৩০-৩৫ ফুট। ধাতুর তৈরি এ মূর্তির ওপর দেয়া হয়েছে সোনালী প্রলেপ। ফলে বহুদূর থেকে তা দৃষ্টিগোচর হয়। তিনিই জানালেন পাহাড়ে বুদ্ধের পাশে যে পতাকা ওড়ানো, সাতরঙা ওই পতাকাটি বৌদ্ধদের ধর্মীয় পতাকা। কৃতজ্ঞতা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম